Sunday, October 28, 2012

পাখি শুণ্য আজমিরীগঞ্জের হাওরগুলো -‘নীল আকাশের ডানা ঝাপটায় না সূতোহীন ঘূড়ি’


জুনাইদ আল হাবিব
আমাদের আজমিরীগঞ্জ২৪ ডট কম

বিকালের আকাশের রং যেন সময়ে সময়ে পাল্টায়। নীল আকাশকে শুভ্র করে তোলে সাদা বক। আবার ক্ষনিক পরেই লেনজা হাসের নীল রং চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। বাদামী রং ছড়ায় গঙ্গা কবুতর। আরও হরেক রকমের পাখির ডানা ঝাপটানোর শব্দ-এক বাদ্যের তাল মেনে চলে। মাঘ মাসে এই হচ্ছে দেশের বৃহত্তর হাওর অঞ্চল আজমিরীগঞ্জ,মিঠাইমন,ইটনার হাওর এলাকার দৃশ্য। কিন্ত এদৃশ্য এখনও আর চোখে পড়ে না। হবিগঞ্জের পশ্চিম হাওর এলাকায় খাল-বিল ছিল পাখিরদের উৎসব নগরী। হরেক রকেরম পাখি দলে দলে বিভক্ত হয়ে উড়তো। দল ছাড়া হতোনা কেউ। এক দল আরেক দলকে অতিক্রম করতো। কখনও গোল আবাও কখনও লম্বা হয়ে শারি বদ্ধভাবে। আবারও কখনও যুদ্ধ বিমানের মতই দেখা যেত। দূর থেকে দেখলে মনে হতো নদীর কচুরিপেনা জানান এলাকার মুরুব্বীগণ। স্থানীয় আরও জানান,শীতে অতিথি পাখিদের অভয়ান্য ছিল আজমিরীগঞ্জ উপজেলা, জুরবিল,চিংড়ি ও কাকাইলছেও আলহাজ্ব নূরুল হক্ব ভূইয়ার বিশাল পুকুর জুরে। শীতের শুরুতে পাখিদের আগমন শুরু হতো। কিছু পাখির নাম জানতে চাইলে জেলে আব্দুল্লাহ হেসে বলে কয়টা পাখির নাম বলবো? বলে শেষ করা যাবে না। যেমন, লেনজাহাসঁ, পিংহাস,বালিহাস,কাইম,গঙ্গা,কবুতর,কালাকোড়া, পিয়ারী, মৌলবী, মাথায়টোপ, দুবড়া,খাউড়ি, বৌড়াল, রানেরকৌড়া, বৈদর, আমডাক, ওড়া, পদ্মাকৌড়ী, গাংচিল, জলকুক্কুট, ফরালিসহ আরও অনেক অনেক বলে আব্দুল্লাহ যা আজমিরীগঞ্জসহ ভাটি এলাকার হাওর গুলোতে অভয়ারণ্য ছিল। ইদানিং এলাকার বেশীর ভাগ জলাশয় পানিহীন ও অবাধ দখল অন্যদিকে পাখি শিকারের মহোৎসবে আগের মতো হরেক রকমের পাখি আর দেখা যায় না। শীত বিকেলের নীল আকাশে ডানা ঝাপটায় না সূতোহীন ঘুড়িগুলো।

বাংলাদেশ সময়:১১:৩০am ২৯ অক্টোবর ২০১২
সম্পাদনা--শিহাব আল মাহমুদ.নিউজ এডিটর



No comments:

Post a Comment