মাদকসেবী ও বহনকারীদের জন্য দুঃসংবাদ। অনেক মাদক বিক্রেতা বিভিন্ন স'ানে পুলিশের সাথে গোপন সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। এ সব বিক্রেতারা মাদকসেবী ও বহনকারীদের গোপন তথ্য ফাস করে দিচ্ছে পুলিশের কাছে। ফলে মাদকসেবী ও বহনকারীরা পুলিশের চোখ ফাকি দিয়ে যেতে পারছেনা। সহজেই এরা পুলিশের খাচায় বন্দী হচ্ছে। এ সুযোগে কোন কোন অসৎ পুলিশ সদস্য মাদকসেবী ও বহনকারীদের কাছ থেকে বখরা আদায় করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় কাকাইলছেওয়ে বাজারের একটি স্টলে চা পান করছিল আব্দুল মজিদ (৩৫) নামের এক ব্যক্তি। হঠাৎ কাকাইলছেও পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ গোলাম মস'ফা ওই চা স্টলে হানা দেন। তিনি আব্দুল মজিদকে চা পানরত অবস'ায় আটক করেন। এ সময় তার ব্যাগ তল্লাশী করে এক পুটলা চোলাই মদ উদ্ধার করেন। সাথে সাথে তাকে আটক করে ফাড়িতে নিয়ে যান। দীর্ঘ ৪ ঘন্টা পর রহস্যজনক কারণে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এব্যাপারে ওই ইনচার্জের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মাদকসেবী বা বহনকারীকে আটক করেননি বলে জানান। এদিকে একটি সুত্র জানায়, মিঠামঈন উপজেলার বৈরাটি গ্রামের মৃত্ আব্দুল মালিকের পুত্র আব্দুল মজিদকে ৩ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। সুত্রটি আরও জানায়, মাদকসেবী ও বহনকারী ওই ফাড়ি থেকে রেহাই পেতে হলে ৩ হাজার টাকা দিতে হয়। যা এখন রেইটে রূপান-র হয়েছে। জানা যায় মাদক বিক্রেতারা মাদকসেবী ও বহনকারীদের তথ্য সাথে সাথে পুলিশকে জানিয়ে দেয়। গতকাল আব্দুল মজিদ কাকাইলছেও বিধান রবি দাসের নিকট থেকে এক পুটলা চোলাই মদ কিনেছিল । সাথে সাথে সে ওই তথ্য পুলিশকে জানিয়ে দেয়।
No comments:
Post a Comment