জুনাইদ আলহাবিব,
আজমিরীগঞ্জ থেকে,আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পাবলিক লাইব্রেরীটি দীর্ঘদিন যাবত অভিভাবকহীন হয়ে বেহাল দশায় পড়ে থাকলেও উদ্যোগে অভাবে বিলুপ্ত হওয়ার পথে। এ যেন দেখার কেউ নেই। অনেক জনপ্রতিনিধিই বক্তৃতার মঞ্চে তর্জনী নাচিয়ে প্রতিশ্র“তির অলংকারে শ্রে“াতাদের মন জয় করলেও ভাটি এলাকার আজমিরীগঞ্জ শুধু প্রতিশ্র“তির বাণীই শুনিয়ে যাচ্ছেন অনেকেই। উপজেলার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য স্থাপনাগুলো দীর্ঘদিন ধরে অযতœ আর অবহেলায় পড়ে থাকলেও এসবের প্রতি কারো নজর পড়ে না। ঠিক তেমনি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য স্থাপনা উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরী। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, ১৯৮৬ ইং ২২ অক্টোবর তৎকালীন জেলা প্রশাসক হেদায়াতুল ইসলাম চৌধুরীর উদ্ভোধনের মাধ্যমে পাবলিক লাইব্রেরীটি সঠিকভাবে পরিচালনা হলেও কয়েক বছর পরেই অযতœ আর অবহেলার কারণে পাবলিক লাইব্রেরীর ভেতরের চেয়ার-টেবিল, সেলিং ফ্যান ও আলমারীসহ অসংখ্য বই-পত্র অদৃশ্য হয়ে যায়। কে বা কারা গায়েব করেছেন তারও সঠিক কোনো তথ্য অদ্যবধি পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এছাড়া পাবলিক লাইব্রেরীর টিনগুলি প্রতিনিয়ত খষে খষে মাটিতে পড়ে যাচ্ছে। গতকাল সরেজমিনে পাবলিক লাইব্রেরীর ভেতরে দিয়ে দেখা যায়, একটি টোকাই ছেলে ভাঙ্গা টিনের টুকরো একটি প্লাষ্টিকের বস্তায় ভরে নিয়ে যাচ্ছে। উপজেলার একমাত্র এই পাবলিক লাইব্রেরীটিতে মিটিং-সভাসহ জরুরি অনেক কাজ করা যেত। এখন আর তা সম্ভব হয় না। এখন শুধু উপজেলা হলরুমে উপজেলার প্রশাসনের কাজে ব্যবহার করা হয়। এলাকার সচেতন মহলের দাবি অনতিবিলম্বে পাবলিক লাইব্রেরীটি সংস্কার করা অতিব জরুরি।
No comments:
Post a Comment