স্টাফ রিপোর্টার ॥
আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জলসুখা ইউপি চেয়ারম্যান ইছাক চৌধুরী দিলুর বিরুদ্ধে পাহাড়সম দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংরক্ষিত মহিলা আসনের সকল সদস্যই জেলা প্রশাসক বরাবরে এক আবেদনে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে প্রকাশ, নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই চেয়ারম্যান পরিষদ পরিচালনা করেছেন তার নিজের খেয়াল খুশিমত। তিনি বিভিন্ন সময় প্রয়োজনের কথা বলে চাপ সৃষ্টি করে জোরপূর্বক মহিলা সদস্যদের নিকট থেকে স্বাক্ষর আদায় করে থাকেন। চেয়ারম্যান ইছাক আপ্যায়ন খাতে সরকারী বরাদ্ধের একটি টাকা খরচ না করেই নিজের পকেটস' করেছেন প্রায় ৩৭ হাজার টাকা। তিনি মা শিশুর চাল, গম বিতরণে আশ্রয় নিয়েছেন মারাত্মক নিয়ম আর দূর্নীতির। ৩০ কেজির পরিবর্তে দেয়া হয়েছে ১৫ থেকে ২০ কেজি চাল-গম। মনগড়া প্রকল্প তৈরী করে আত্মসাত করেছেন কাবিখা, টাবিখা ও টিআর-এর লাখ লাখ টাকার চাল। শুধু তাই নয়, স'ানীয় সরকার কর্তৃক বরাদ্ধকৃত এলজি এসপি ও এলজিইডি এর প্রকল্পের কাজ তিনি নিজে অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে করেছেন বাস-বায়ন। সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্নীতি করা হয়েছে ১শ দিনের কর্মসূচীতে। এ কাজের সমুদয় টাকাই তিনি বিভিন্ন কৌশলে করেছেন আত্মসাত। ভিজিডি জিএফ-এর বস-ার বস-া চাউল চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় মাছের খাদ্য হিসেবে ফেলে দেয়া হয়েছে তার অনুগত শাহ জাহান মেম্বারের ফিসারীতে। মেম্বার লিবাস আহাদ ও লুৎফুর মিয়ার সহযোগিতায় বিলি করেছেন শতাধিক মন চাউল। মহিলা সদস্যরা এসব অপকর্ম আর দুর্নীতির প্রতিবাদ করলে তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে অফিসে না আসার হুমকি দেন। মহিলা সদস্যদের অভিযোগ, পরিষদের কোন কাজেই তাদের সহযোগিতা বা পরামর্শ নেয়া হয়না। ইউপি সদস্য লক্ষী রাণী দেবনাথ, রাজিয়া সুলতানা ও মাসুক বিবি স্বাক্ষরিত জেলা প্রশাসক বরাবরে দায়েরকৃত অভিযোগপত্রে উল্লেখিত দুর্নীতি আর অপকর্মের সুষ্ঠু তদনে-র জোর দাবী জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে গতকাল বুধবার রাতে চেয়ারম্যান ইছাক চৌধুরী দিলুর সাথে কথা বললে তিনি এক বাক্যে তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
No comments:
Post a Comment