Friday, November 30, 2012

আজমিরীগঞ্জে সেচ প্রকল্পের কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধ সংঘর্ষের শংকা

জুনাইদ আলহাবিব
আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নে সাহানগর ও রসুলপুর কৃষক সমবায় সমিতি নিয়ে আবারও এলাকায় মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। এনিয়ে রসুলপুর গ্রামে পক্ষ বিপক্ষের মাঝে রক্তক্ষয়ী সংর্ঘের আশংকা দেখা দিয়েছে। জানা যায়, সাহানগর-রসুলপুর ভাসমান কৃষক সমবায় সমিতি দীর্ঘ এক যুগ ধরে দুই হাজার একর জমি নিয়ে ঘটিত এলাকায় একটি সেচপ্রকল্প কমিটির মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়। কিন্তু ইরি-বেরো মৌসুম এলেই প্রতি বছরই এ সেচ প্রকল্পটি নিয়ে রসুলপুর গ্রামে উঠতি বয়সের পাতিনেতাদের দৌড়ঝাপসহ গ্র“পিং-লবিং শুরু হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসব পাতিনেতাদের হাওরে জমি নেই বললেই চলে। অথচ, এ সুযোগে নিরীহ কৃষকদের প্রলোভন দেখিয়ে নিজেদের পকেট ভারি জন্য এ অপচেষ্টা চালায়। ফলে উল্লেখিত সেচপ্রকল্প নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, গত ১০/১৫ দিন পূর্বে রসুলপুর গ্রামে দুই শতাধিক কৃষক রাত ৮টায় রসুলপুর সরকারি প্রাথঃ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে কমিটি গঠনের লক্ষ্যে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নুরুল হক মিয়াকে ম্যানেজারের দায়িত্ব দেয়া হলেও সভাপতি নিয়োগ নিয়ে ঘটে বিপত্তি। এরপরই সভা পণ্ড হয়ে যায়। পরেরদিন গ্রামে তিনটি  পক্ষের পৃথক পৃথক কমিটি গঠিত হয়। ১ম পক্ষ কমিটির ম্যানেজার নুরুল হক মিয়া ও সভাপতি বর্তমান ইউপি মেম্বার সিদ্দিকুর রহমান, ২য় পক্ষ কমিটির ম্যানেজার সাবেক ইউপি সদস্য শহিদ মিয়া ও সভাপতি মতিউর রহমান এবং ৩য় পক্ষ কমিটির ম্যানেজার দয়াল মিয়া ও সভাপতি শহিদ মিয়া। এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আগামী রবিবার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বৈধ কমিটিকে সেচপ্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হবে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়। উল্লেখ্য, গত ইরি-বোরো মৌসুমে এভাবেই রসুলপুর গ্রামে একই সেচপ্রকল্প নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১২৭ ধারা জারি ঘোষণা করা হয়। পরে দু’পক্ষ থেকে থানায় ডেকে নিয়ে সমঝোতার ভিত্তিতে কমিটি গঠন করা হয়।

No comments:

Post a Comment