আমাদের আজমিরীগঞ্জ২৪ডট কম
দীর্ঘ ৩৭ বছরেও জেলখানায় জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলার বিচার-প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। প্রতিকূল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বিচার-প্রক্রিয়া শুরুই হয়েছিল ঘটনার দীর্ঘ ২১ বছর পর। নানা পর্যায় পার হয়ে এখন মামলাটি হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল শুনানি পর্যায়ে। গত বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সারসংক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টে জমা দিয়েছে। এতে একাধিক আসামিকে খালাস দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল এবং নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজা বহাল রাখার আরজি করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার আপিলের শুনানির দিন ধার্য করার জন্য রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন করার কথা।
রাষ্ট্রপক্ষ আপিলের ওপর শুনানির উদ্যোগ নেওয়ায় নিহত নেতাদের পরিবারের সদস্যরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ওই বছরেরই ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী অবস্থায় গুলি করে হত্যা করা হয় মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতাকে। তাঁরা হলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মনসুর আলী ও কামরুজ্জামান। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরে আসার পর এই মামলা গতি পায়। ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর নিম্ন আদালত পলাতক তিন আসামিকে ফাঁসি ও ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। তবে চার রাজনীতিবিদ কে এম ওবায়দুর রহমান, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, নূরুল ইসলাম মঞ্জুর ও তাহেরউদ্দিন ঠাকুর এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মেজর (অব.) খায়রুজ্জামানকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। ২০০৮ সালের ২৮ আগস্ট মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ ও জেল আপিলের ওপর শুনানি শেষে হাইকোর্ট রায় দেন। এতে একজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য দুজন ও যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত চারজন খালাস পান। এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১০ সালের শেষ দিকে লিভ টু আপিল করে। আপিল বিভাগ ২০১১ সালের ১১ জানুয়ারি লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে খালাস পাওয়া দুই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি দফাদার মারফত আলী শাহ ও দফাদার মো. আবুল হাশেম মৃধাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। আর রাষ্ট্রপক্ষকে ৩০ দিনের মধ্যে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দিতে বলা হয়। প্রায় ২২ মাস পর গত ৩১ অক্টোবর এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি আনিসুল হক ২৫ পৃষ্ঠার সারসংক্ষেপ প্রস্তুত করে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে জমা দেন। সর্বশেষ অবস্থা: অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম গতকাল শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘রোববার আপিল শুনানির দিন নির্ধারণের জন্য আবেদন করা হবে। জেলহত্যা মামলায় হাইকোর্টে মৃত্যুদণ্ড থেকে অব্যাহতি পাওয়া পলাতক দুই আসামি দফাদার মারফত আলী শাহ ও দফাদার মো. আবুল হাশেম মৃধার বিষয়ে করা আপিলের ওপর এখন শুনানি হবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনার জন্য পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে।জেলহত্যা মামলার তাৎপর্য প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি আনিসুল হক গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটা ঠিক, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আসামিদের একাংশের সাজা হয়েছে। কিন্তু এ মামলার গুরুত্ব সামান্যতমও কমেনি।...হাইকোর্ট একজনকে সাজা দিয়েছেন। তা হলে কি একজন চার নেতাকে হত্যা করেছে? হাইকোর্টের রায় পক্ষপাতদুষ্ট ও অবাস্তব। তাই আপিলের শুনানি হওয়া প্রয়োজন।’ স্বজনদের প্রতিক্রিয়া: জেলহত্যাকাণ্ডের শিকার মনসুর আলীর ছেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ নাসিম শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্বাধীনতাসংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের জন্য দেশবাসী দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছে। আমরা চাই স্বল্পতম সময়ের মধ্যে এর নিষ্পত্তি করা হোক এবং খুনিদের চরম দণ্ড ঘোষণা করা হোক।’ তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা সিমিন হোসেন রিমি বলেন, ‘একটি রাষ্ট্রের জন্মের সঙ্গে যুক্ত এই বীরদের হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত, তাদের বিচার হওয়া উচিত। আপিল শুনানির উদ্যোগ আশার সঞ্চার করেছে। আশা করি বিচার ত্বরান্বিত হবে।’ মামলার ঘটনাক্রম: হত্যাকাণ্ডের পরদিন ৪ নভেম্বর তৎকালীন উপ কারা মহাপরিদর্শক কাজী আবদুল আউয়াল লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় বলা হয়, রিসালদার মোসলেম উদ্দিনের নেতৃত্বে চার-পাঁচজন সেনাসদস্য কারাগারে ঢুকে চার নেতাকে হত্যা করেন। মামলার তদন্ত ২১ বছর কার্যত থেমে ছিল। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তদন্ত শুরু হয়। ১৯৯৮ সালের ১৫ অক্টোবর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) এএসপি আবদুল কাহহার আকন্দ ২১ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেন। ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর নিম্ন আদালত রায় দেন। তৎকালীন মহানগর দায়রা জজ মো. মতিউর রহমান ঐতিহাসিক এ রায়ে পলাতক আসামি রিসালদার মোসলেম উদ্দিন, দফাদার মারফত আলী শাহ ও দফাদার মো. আবুল হাশেম মৃধাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। কর্নেল (অব.) ফারুক রহমান, মেজর (অব.) বজলুল হুদা ও মেজর (অব.) সুলতান শাহরিয়ার রশিদ, কর্নেল (অব.) খন্দকার আবদুর রশিদ, লে. কর্নেল (অব.) শরিফুল হক ডালিম, কর্নেল (অব.) এম বি নূর চৌধুরী, মেজর (অব.) কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ, লে. কর্নেল (অব.) এ এম রাশেদ চৌধুরী, মেজর (অব.) আহম্মদ শরিফুল হোসেন, ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল মাজেদ, ক্যাপ্টেন (অব.) কিসমত হাশেম, ক্যাপ্টেন (অব.) নাজমুল হোসেন আনসারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা মামলার শুরু থেকেই পলাতক। হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ ২০০৮ সালের ২৮ আগস্ট রায় দেন। রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি দফাদার মারফত আলী শাহ, দফাদার মো. আবুল হাশেম মৃধা ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, বজলুল হুদা এবং এ কে এম মহিউদ্দিন আহাম্মদ খালাস পান। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত অন্য আট আসামি হাইকোর্টে আপিল না করায় তাঁদের দণ্ড বহাল রয়েছে বলে আইনজীবীরা মনে করেন।জেলহত্যা মামলায় হাইকোর্টে অব্যাহতি পাওয়া চারজন: সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, বজলুল হুদা ও এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদের ইতিমধ্যে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষ আপিলের ওপর শুনানির উদ্যোগ নেওয়ায় নিহত নেতাদের পরিবারের সদস্যরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ওই বছরেরই ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী অবস্থায় গুলি করে হত্যা করা হয় মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতাকে। তাঁরা হলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মনসুর আলী ও কামরুজ্জামান। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরে আসার পর এই মামলা গতি পায়। ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর নিম্ন আদালত পলাতক তিন আসামিকে ফাঁসি ও ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। তবে চার রাজনীতিবিদ কে এম ওবায়দুর রহমান, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, নূরুল ইসলাম মঞ্জুর ও তাহেরউদ্দিন ঠাকুর এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মেজর (অব.) খায়রুজ্জামানকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। ২০০৮ সালের ২৮ আগস্ট মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ ও জেল আপিলের ওপর শুনানি শেষে হাইকোর্ট রায় দেন। এতে একজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য দুজন ও যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত চারজন খালাস পান। এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১০ সালের শেষ দিকে লিভ টু আপিল করে। আপিল বিভাগ ২০১১ সালের ১১ জানুয়ারি লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে খালাস পাওয়া দুই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি দফাদার মারফত আলী শাহ ও দফাদার মো. আবুল হাশেম মৃধাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। আর রাষ্ট্রপক্ষকে ৩০ দিনের মধ্যে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দিতে বলা হয়। প্রায় ২২ মাস পর গত ৩১ অক্টোবর এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি আনিসুল হক ২৫ পৃষ্ঠার সারসংক্ষেপ প্রস্তুত করে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে জমা দেন। সর্বশেষ অবস্থা: অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম গতকাল শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘রোববার আপিল শুনানির দিন নির্ধারণের জন্য আবেদন করা হবে। জেলহত্যা মামলায় হাইকোর্টে মৃত্যুদণ্ড থেকে অব্যাহতি পাওয়া পলাতক দুই আসামি দফাদার মারফত আলী শাহ ও দফাদার মো. আবুল হাশেম মৃধার বিষয়ে করা আপিলের ওপর এখন শুনানি হবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনার জন্য পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে।জেলহত্যা মামলার তাৎপর্য প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি আনিসুল হক গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটা ঠিক, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আসামিদের একাংশের সাজা হয়েছে। কিন্তু এ মামলার গুরুত্ব সামান্যতমও কমেনি।...হাইকোর্ট একজনকে সাজা দিয়েছেন। তা হলে কি একজন চার নেতাকে হত্যা করেছে? হাইকোর্টের রায় পক্ষপাতদুষ্ট ও অবাস্তব। তাই আপিলের শুনানি হওয়া প্রয়োজন।’ স্বজনদের প্রতিক্রিয়া: জেলহত্যাকাণ্ডের শিকার মনসুর আলীর ছেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ নাসিম শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্বাধীনতাসংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের জন্য দেশবাসী দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছে। আমরা চাই স্বল্পতম সময়ের মধ্যে এর নিষ্পত্তি করা হোক এবং খুনিদের চরম দণ্ড ঘোষণা করা হোক।’ তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা সিমিন হোসেন রিমি বলেন, ‘একটি রাষ্ট্রের জন্মের সঙ্গে যুক্ত এই বীরদের হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত, তাদের বিচার হওয়া উচিত। আপিল শুনানির উদ্যোগ আশার সঞ্চার করেছে। আশা করি বিচার ত্বরান্বিত হবে।’ মামলার ঘটনাক্রম: হত্যাকাণ্ডের পরদিন ৪ নভেম্বর তৎকালীন উপ কারা মহাপরিদর্শক কাজী আবদুল আউয়াল লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় বলা হয়, রিসালদার মোসলেম উদ্দিনের নেতৃত্বে চার-পাঁচজন সেনাসদস্য কারাগারে ঢুকে চার নেতাকে হত্যা করেন। মামলার তদন্ত ২১ বছর কার্যত থেমে ছিল। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তদন্ত শুরু হয়। ১৯৯৮ সালের ১৫ অক্টোবর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) এএসপি আবদুল কাহহার আকন্দ ২১ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেন। ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর নিম্ন আদালত রায় দেন। তৎকালীন মহানগর দায়রা জজ মো. মতিউর রহমান ঐতিহাসিক এ রায়ে পলাতক আসামি রিসালদার মোসলেম উদ্দিন, দফাদার মারফত আলী শাহ ও দফাদার মো. আবুল হাশেম মৃধাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। কর্নেল (অব.) ফারুক রহমান, মেজর (অব.) বজলুল হুদা ও মেজর (অব.) সুলতান শাহরিয়ার রশিদ, কর্নেল (অব.) খন্দকার আবদুর রশিদ, লে. কর্নেল (অব.) শরিফুল হক ডালিম, কর্নেল (অব.) এম বি নূর চৌধুরী, মেজর (অব.) কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ, লে. কর্নেল (অব.) এ এম রাশেদ চৌধুরী, মেজর (অব.) আহম্মদ শরিফুল হোসেন, ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল মাজেদ, ক্যাপ্টেন (অব.) কিসমত হাশেম, ক্যাপ্টেন (অব.) নাজমুল হোসেন আনসারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা মামলার শুরু থেকেই পলাতক। হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ ২০০৮ সালের ২৮ আগস্ট রায় দেন। রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি দফাদার মারফত আলী শাহ, দফাদার মো. আবুল হাশেম মৃধা ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, বজলুল হুদা এবং এ কে এম মহিউদ্দিন আহাম্মদ খালাস পান। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত অন্য আট আসামি হাইকোর্টে আপিল না করায় তাঁদের দণ্ড বহাল রয়েছে বলে আইনজীবীরা মনে করেন।জেলহত্যা মামলায় হাইকোর্টে অব্যাহতি পাওয়া চারজন: সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, বজলুল হুদা ও এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদের ইতিমধ্যে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।
No comments:
Post a Comment