Monday, November 5, 2012

হবিগঞ্জের বানিয়াচঙয়ে নিখোজের ৩দিন পর দুই সন্তানের জননীর লাশ উদ্দার ॥ শাশুরী গ্রেফতার , স্বামী পলাতক ॥নিহতের আত্বীয়দের দাবী এটি হত্যাকান্ড


জীবন আহমেদ লিটন , বানিয়াচং (হবিগঞ্জ থেকে) ॥
বানিয়াচঙ ৬ নং কাগাপাশা ইউনিয়নের লোহাজুরী গ্রামের হাওর থেকে নিখোজ হওয়ার ৩ দিন পর ২ সন্তানের জননীর লাশ উদ্দার করেছে বানিয়াচঙ থানা পুলিশ। নিহতের স্বামী লাশ উদ্দারের পর থেকে পলাতক রয়েছে। জিঞ্জাসাবাদের জন্য নিহতের শাশুরীকে আটক করে বানিয়াচঙ থানায় নেওয়া হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিাপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ প্রেরন করা হয়েছে। নিহতের পিতার গ্রামের বাড়ি একই ইউনিয়নের চমকপুর গ্রামে চলছে শুকের মাতম। নিহতের আত্মীয়দের দাবী আত্ম হত্যা নয় এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড।
 
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বানিয়াচঙ ৬ নং উইনয়নের চমকপুর সরালিয়া হাটির ছমেদ মিয়ার কণ্যা ছালমা বেগম ( ২৫ ) গত কয়েক বছন পূর্বে বিবাহ হয় ঐ ইউনিয়নের আব্দুল খালেক পচু মিয়ার পুত্র লিটন মিয়ার সাথে (২৮) এর সাথে। বিয়ের পর তাদের দুটি পুত্র সন্তান হয়ে। বর্তমানে তাদের একজনের ৩ বছর ও আর এক জনের ১ বছর। সুখেই কাটছিল তাদের সংসার। গত প্রায় ৫ দিন পূর্বে দেিনর বেলা ছালমা বেগমের শাশুরী লীল বাণু (৫২) সাথে ঝগরা হয়। ঝগরা হওয়ার ২ দিন পর্যন্ত ছালমা বেগম রাগে অভিমানে ঘরে কোন খাবার খায়নি। একথা জানতে পেরে তার স্বামী লিটন গত ৩ নভেম্বর রাতে ছালমাকে অভিমান ভাঙ্গিয়ে রাতের খাবার খাওয়ায়। খাওয়া শেষে স্বামীর সাথে একই বিছানায় নিদ্রায় যায় ছালমা। গভীর রাতে ছালমার শাশুরী লীল বাণু লিটনের বাচ্চার কান্না শুনতে পেয়ে তাদের শুয়ার ঘরে গিয়ে দেখতে পান ছালমা ঘরে নাই। লীল বাণু বেগম তার পুত্র লিটনকে ডেকে তুলে তার স্ত্রী ঘরে না থাকার বিষয়টি অবগত করেন। মা পুত্র মিলে অনেক্ষন ডাকা-ডাকি ও খুজাখুজির পর কোথাওয় ছালমাকে খুজে না পেয়ে পর দিন ছালমার পিতার বাড়িতে বিষয়টি অবহিত করেন। ৪ নভেম্বর রাতে ছালমা বেগমের চাচা আব্দুর রাজ্জাক নিখোজের বিষয়টি অবহিত করে বানিয়াচঙ থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করেন। যার নং ১৪৮/ ০৪/২০১২। গতকাল ৫ নভেম্বর ভোরে জেলেরা লোহাজুরী হাওরে মাছ ধরতে গেলে ভাসমান অবস্তায় একটি লাশ দেখতে পেয়ে তারা গ্রামে খবর দেয়। গ্রামবাসী বিষয়টি স্থানীয় এক সাংবাদিককে অবহিত করলে ঐ সাংবাদিক বানিয়াচঙ থানার অফিসার ইন্চার্জ নির্মলেন্দু চক্রবর্তীকে টেলিফোনে লাশ দেখার বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে বানিয়াচঙ থানার ওসি তদন্ত দোলোয়ার হোসেন ও এস আই আবুল কালাম আজাদ এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে হাওর থেকে লাশ উদ্ধার করে গ্রামে নিয়ে আসেন। গ্রামবাসী লাশটি নিখোজ হওয়া ছালমা বেগমের বলে সনাক্ত করেন। পুলিশ ছালমার লাশ বানিয়াচঙ থানায় নিয়ে এসে সুরত হাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করে। নিহতের শাশুরীকে আটক করার বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি তদন্ত দেলোয়ার হোসেন জানান, নিহতের আত্মীয়রা অভিযোগ করেছেন ছালমাকে তার স্বামী শাশুরীরা খুন করেছে তাই তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ওসি জানান, তথ্য উদঘাটনের জন্য লীল বাণুকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। নিহতের আত্মীয়রা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে পুলিশ জানায়।

No comments:

Post a Comment